Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
অপারেশন জাটকা নিধন, বিশেষ কম্বিং অপারেশন ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান এর সার্বিক কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশ্নমালা
বিস্তারিত

অপারেশন জাটকা নিধন, বিশেষ কম্বিং অপারেশন ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান এর সার্বিক কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশ্নমালা

 

  1. জাটকা নিধন/ মা ইলিশ সংরক্ষণ/ কম্বিং অপারেশণকালীন জাটকা বা মা ইলিশ ব্যতীত মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক অন্য মাছ ধরার কোন বিকল্প পদ্ধতি, জাল ব্যবহার  বা কোন নির্দেশনা রয়েছে কি?
  • ইলিশ আহরণের জন্য ৬.৫ সে.মি. মেষ সাইজের জাল ব্যবহারের নির্দেশনা আছে।

 

  1. যে সকল স্থানে নৌবাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করা হয় সে সকল স্থানের চার্ট, ম্যাপ অথবা এলাকা নির্ধারণী কোন ড্রয়িং রয়েছে কি?
  • নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত স্থানের চার্ট, ম্যাপ অথবা এলাকা নির্ধারণী ড্রইং উপজেলা অফিসে নেই।

 

  1. নিষিদ্ধ জালসমূহ (কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, চরঘেরা জাল, মশারী জাল ইত্যাদি) মাছ আহরণের ফলে মৎস্য সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি জেলেরা ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নিষিদ্ধ জালের উৎস্য বা উৎপত্তিস্থলে নিয়মিত অভিযান বা মনিটরিং এর ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?
  • নিষিদ্ধ জালের উৎপত্তিস্থল মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক, সেখানে পুলিশ, র‌্যাব, প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে নিয়মিত মোবাইলকোর্ট / অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

 

  1. নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে মৎস্য অধিদপ্তর হতে যে সকল প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয় তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই স্থানীয় ভৌগলিক জ্ঞানের স্বল্পতা পরিলক্ষিত হয়। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জেলে বা মাঝির উপরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরশীল হতে হয়। এতে অভিযানের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায় দক্ষ বা উপযুক্ত প্রতিনিধি নিয়োগে কি কি কার্যকারি ব্যবস্থা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে?
  • দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য স্থায়ী নিয়োগ ও এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

 

  1. অভিযান পরিচালনায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনায়নের লক্ষে পরিচালিত অভিযানসমূহে ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতি নিশ্চিত করার  জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?
  • পরিচালিত অভিযানে ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতির জন্য সংম্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে পত্র প্রেরন করা হয়ে থাকে। যাতে সে অথবা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) উপস্থিত থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারে।

 

 

  1. সফলভাবে জাটকা, মা ইলিশ, কম্বিং অপারেশন পরিচালনায় মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক কি  কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
  • প্রতিটি প্রোগ্রাম শুরুর পূর্বে অধিকতর প্রচার প্রচারণার ব্যাবস্থা করা হয়ে থাকে।
  • সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতা করা হয়ে থাকে।
  • আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন- বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, ও প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

  1. সফলভাবে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে সাধারণ জনগণকে ( জেলে, মৎস্যজীবী, জাল উৎপাদনকারী ও মৎস্য ব্যবসায়ী) কিভাবে অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে বলে আপনারা মনে করেন?
  • ইলিশ সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন প্রতিনিধি এবং জেলে/ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদককে উক্ত প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের সচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহনে উদ্বুদ্ধ করা।

 

  1. বছরের অধিকাংশ সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন অভিযান পরিচালিত হয়ে থাকে। উক্ত সময়ে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে বিধায় এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকলের বিকল্প আয়ের উৎস্য  এবং বর্তমান পদক্ষেপ এর পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
  • মৎস্য অধিদপ্তর সময় সময় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থার জন্য  বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে থাকে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য।
  • ভবিষ্যতে যাতে নিষিদ্ধকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট সকলে বিকল্প আয়ের উৎস্য সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।
  • বেশি বেশি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা।

 

  1. যেহেতু প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয় তাই চলমান প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই, তাই সচেতনতামূলক প্রচারণার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কি?
  • প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয় বিবেচনায় মৎস্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ সমূহঃ

১. এ বিষয়ে গ্রামভিত্তিক উঠান বৈঠন/ প্রচার প্রচারণা।

২. জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শণ।

৩. নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভিজিএফ চাল বিতরণ

৪. জনপ্রতিনিধি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা।

 

 

 

 

 

জেলেদের জন্য করণীয়ঃ

  • জেলেপল্লীতে বিকল্প কর্মসংস্থান করা, নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকে জেলেদের সরিয়ে সঠিক পূর্বাসন করতে হবে।
  • জেলে গ্রুপ করে গ্রুপে মাছ ধরার ব্যবস্থা করা।
  • মাছ ধরার জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা , ইচ্ছা করলেই কেহ নদী বা সমূদ্রে মাছ ধরতে পারবে না
  • সকল মাছ ধরার নৌকা/ ট্রলারকে রেজিষ্ট্রেশন/ লাইসেন্স এর আওতায় এনে মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • আপদকালীন ঋণের ব্যবস্থা করা।
  • সকল জেলেদের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।

নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযানের সীমাবদ্ধতা

  • অভিযানে ব্যবহৃত নিজস্ব দ্রুতগামী যানের ব্যবস্থা করা।
  • নিজস্ব মাঝি না থাকা। একই মাঝি বারবার ব্যবহার করা।
  • রাত্রে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা না করা
  • নদীর তীরে অবিযান না করা।
  • অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলে আটক না করা
  • অভিযান পরিচালনার স্থান জাহাজের অবস্থান থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ায় অভিযান সময় কম হওয়া।

জাটকা সংরক্ষণে করনীয়

  • জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বসাধারণের সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষে টাস্ক ফোর্স কমিটির সভা করা, জেলে পল্লীতে সচেতনতা সভা, মৎস্য বাজারসহ জনবহুল স্থানে ব্যানার ও পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা।
  • জাটকা আহরণে সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার রোধ করা
  • কারেন্ট জালঃ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার বন্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, জেলে পল্লীতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে সকল প্রকার অবৈধ উদ্ধার জাল করা। পাই জাল, বেহুন্দি জাল এবং মশারি জাল ও ইত্যাদি অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলেদের তালিকা  করে করে নোটিশ নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে জাল মৎস্য অফিসে জমা করা। জমা না দিলে আইনী প্রক্রিয়াই তাদেরকে বাড়ি থেকে জালসহ আটক করা।
  • জাটকা সংরক্ষণে নদী তীরবর্তী ইউনিয়ন ও গ্রামে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে জাটকা সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা।
  • জাটকা সংরক্ষণে সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগনকে বিশেষ করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানবৃন্দকে সম্পৃক্ত করা।
  • জাটকা আহরণে বিরত থাকা সকল জেলেকে খাদ্য সহায়তা অথবা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা।
  • নদী তীরবর্তী জেলেদের দিয়ে উৎপাদনমূখী কার্যক্রম পরিচালনা করা যেমন খাঁচা বা পেনে মাছ চাষ, বাড়ির আঙ্গিনা নদীর চর ও পাড়ে সবজি উৎপাদন ইত্যাদিতে উৎসাহিত করা।
  • ইলিশ  সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সকল উপজেলায় দ্রুতগতি সম্পন্ন জনযান সরবরাহ করা। সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় মৎস্য অধিদপ্তরের জনবল, সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
29/05/2023
আর্কাইভ তারিখ
29/02/2024